Spread the love

রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যায় তিনটি মূর্তি। আর সেই তিনটি মূর্তির উধাও রহস্য উদ্‌ঘাটন নিয়েই হল আজকের এই রহস্যময় ছোট গোয়েন্দা গল্প টি।

রহস্যময় ছোট গোয়েন্দা গল্পঃ- ‘নীল নারী মূর্তি রহস্য’

“প্রথম দিনেই, উত্তর বঙ্গ মিউজিয়াম থেকে উধাও, মেহেরগড় সভ্যতার নীল রঙের পাথরের তৈরি নৃত্য রত তিনটি নারী মূর্তি। রহস্যজনক ভাবে উধাও হওয়ার সময় মিউজিয়ামের কোন সিসি টিভি ক্যামেরায় কিছুই ধরা পরে নি। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।“ এক নিঃশ্বাসে পুরো খবরটি পড়ার পর রানি বলল, “তাহলে এবার বোধ হয় একটা কাজ পাওয়া গেল, কি বলো?”

Mr. Ash টেবিল থেকে একটি পার্ক উঠিয়ে নিয়ে বললেন, “কিন্তু কাজ টি খুবই জটিল হতে চলেছে। এক সঙ্গে তিনটি মূর্তি উধাও করা কোন সাধারণ মানুষের কর্ম নয়।“

রানি – “তাহলে এবার কি করবে, কেস টা তো ছাড়াও যাচ্ছে না!”

Mr. Ash- “সবার আগে শিলিগুড়ি থানার ওসি দত্ত বাবুর কাছে বিস্তারিত খবর নাও।“

রানি দত্ত বাবুকে টেলিফোন করল-

-“হ্যাঁ আমরা ভালো আছি,…হ্যাঁ এই মাত্র ঘটনাটা কাগজে দেখলাম…বলছেন…ঠিক আছে…আগামীকাল দেখা হচ্ছে।”

ফোনটা রেখে দিয়ে রানি বলল- “দত্ত বাবুর তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। আগামীকাল সকাল ১১ টায় আমাদের তিনি মিউজিয়ামে যেতে বলেছেন, তিনি ওখানেই থাকবেন।“

রহস্যময় ছোট গোয়েন্দা গল্প
রহস্যময় ছোট গোয়েন্দা গল্প

পরের দিন তারা যখন মিউজিয়ামে পৌঁছাল তখন, মিউজিয়ামে দত্ত বাবুর সাথে Mr. Antony কেও দেখা গেল। ইনি হলেন Mr. Ash এর চির শত্রু। ইনি একজন পেশাদার প্রাইভেট ডিটেকটিভ। কিন্তু তার স্বভাব বড্ড বিচিত্র। বিভিন্ন কাজে তিনি Mr. Ash কে বাঁধা দিয়েছেন। এমনকি ইনার জন্য Mr. Ash কয়েকটি কেসও সমাধান করতে পারেননি। তিনি এগিয়ে এসে বললেন-

“নমস্কার অ্যাশ, তোমাকে এখানে দেখে আমার খুবই উৎসাহ জন্মাচ্ছে। আশা করি আগের কেস গুলির মত এই কেসটি আর আমার কাছে হারবে না। হাঁ হাঁ হাঁ…”

এই বলে তিনি মিউজিয়ামের ভিতরে চলে গেলেন। Mr. Ash কিছু বললেন না।

এদিকে লোকটার এরকম কথায় রানি বেমালুম চটে গেছে- “তুমি লোকটাকে কিছু বললে না কেন?”

Mr. Ash এর শান্ত জবাব- “লোকটা আমাদের থেকে বয়সে বড়, আর তাছাড়াও, আমরা তো আগে ওর কাছে বেশ কয়েকটি কেসে হেরেছি…শান্ত থাকো এখন।“

এরপর রানিরা যখন মিউজিয়ামটির ভিতরে গেল, তখন তারা দেখল Mr. Antony আগে ভাগেই তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ব্যাগ থেকে লেন্স টা বের করে Mr. Ash ও শুরু করে দিলেন তার কাজ। তবে তিনি যেন লেন্সে নয়, দেখছেন অন্য কোথাও। এরপর তিনি লেন্সটা পকেটে রেখে দিয়ে, যে জায়গাটির উপর মূর্তি গুলি রাখা ছিল, সেটি ভাল মত দেখতে লাগলেন।

এদিকে সেই অ্যান্টনি এসে Mr. Ash কে বলতে লাগলেন- “বাবু, তুমি এখনও বাচ্চা আছ, এই সব কাজে মন না দিয়ে একটু পড়াশোনার দিকে মন দাও। চললুম, বেস্ট অফ লাক“ এই বলে অ্যান্টনি চলে গেল। Mr. Ash এবারও কিছু উত্তর দিলেন না। তিনি চুপচাপ তার কাজ করেই যাচ্ছেন।

-রানি এই জায়গাটার কয়েকটা ফটোগ্রাফ তুলে নাও। এরপর ওই গেট থেকে এই প্রথম মূর্তিটার স্থান পর্যন্ত একটি ওয়াইড অ্যাঙ্গেল শর্ট… তিনটি মূর্তি থেকে তিনটি কাল্পনিক রেখা টেনে, সেই রেখা গুলি সংযোগ স্থলে দাঁড়িয়ে ৩৬০ ডিগ্রির একটি ছবি… সব কটা ফটোগ্রাফ যেন FHD তে হয়।

এই কথাটি বলার পর Mr. Ash আবার তার কাজে মন দিলেন। একজন গার্ড কে ডেকে তার কাছে গোটা ঘটনার বর্ণনা শুনলেন।

অবশেষে Mr. Ash ও রানি দত্ত বাবুর সাথে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমে গিয়ে চুরি হওয়ার ফুটেজ দেখতে লাগলেন।

-“প্লে করুন, স্টপ, রিভাইন করুন, স্টপ জুম ইন করুন। অদ্ভুত ভাবে মূর্তি গুলি যেন হাওয়া তে মিলিয়ে গেল।”

কিন্তু না, তাদের মাথায় কিছুই ঢুকছে না। অবাক করার মত ব্যাপার হল, না কোন পাওয়ার কাট, না কোন কিছু হঠাৎ করেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মূর্তি গুলি হাওয়াতেই উধাও হয়ে গেল কীভাবে!

-আচ্ছা, এই ফুটেজ এর একটা কপি কি আমাদের দেওয়া যাবে?

-হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই।

-রানি , কপিটা প্যান ড্রাইভ এ নিয়ে নাও।

পড়ুনঃ- বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ভুতের গল্প

এরপর বাড়ি ফিরে Mr. Ash কে দেখে খুবই চিন্তিত মনে হল। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, রহস্যের কোন কিনারা তিনি এখনও খুঁজে পান নি।
-আচ্ছা রানি , এমন কিছু কি দেখেছ, যেটা তোর মনে দাগ কাটতে পারে?

-উঁহুঁ, আমার তো সেরকম কিছুই চোখে পরেনি।

– ফটোগ্রাফ গুলি প্রিন্ট হতে কত সময় লাগবে আর?

-এই তো হয়ে গেছে।

এরপর রানি ফটোগ্রাফ গুলি Mr. Ash এর হাতে দিল, Mr. Ash সেগুলি খুব ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। এভাবেই কেটে গেল প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বললেন-

“আমার মনে হয় এই কেসটাও সেই অ্যান্টনির কাছে হেরে যাব।“

রানি – “এরকম কথা বলো না প্লিজ, ওই অ্যান্টনি কে তোমাকে দেখিয়ে দিতেই হবে, যে তুমিও কম নয়।“

Mr. Ash এর চোখ গেল, কম্পিউটারের মনিটরে খুলে রাখা ছবি গুলির দিকে-

ছোট গোয়েন্দা গল্প
ছোট গোয়েন্দা গল্প

“ওই মেঝের আরালের ছবিটা জুম করোতো, সাদা সাদা ওটা কি?”

-ওটা, ওটা কীসের যেন রোল। না আর জুম করা যাচ্ছে না, ছবি ব্লার হয়ে যাচ্ছে।

-আচ্ছা, দত্ত বাবু তো ওখানেই আছে না?

-হ্যাঁ তিনি তো তাই বললেন, তিনি নাকি ওখানেই থাকবেন।

-হুমমম ঠিক বলেছ।

এরপর, Mr. Ash দত্ত বাবুকে টেলিফোন করলেন- “হ্যাঁ দত্ত বাবু, দ্বিতীয় মূর্তিটি যেখানে ছিল, সেখানে মেঝেতে মাঝ বিন্দু থেকে বামে খুঁটির কাছে দেখুন তো, কিছু একটার রোল রয়েছে… পাওয়া গেছে…ওয়া…বলেন কি!…না…না…ও…আচ্ছা…ধন্যবাদ।“

-দত্ত বাবু বললেন, সেটা নাকি ডবল সাইড গ্লু। কিন্তু ডবল সাইড গ্লু সেখানে পরে আছে কেন?

রানি – এই গ্লু দিয়ে তো, যে কোনো জায়গায় কোনো কিছু সাটিয়ে দেওয়া যায় তাই না?

-গুড, একদম ঠিক। কোনো কিছু সাটিয়ে দেওয়া যায়। মিউজিয়ামে এই ধরনের গ্লু ব্যবহার করা হয় না। অর্থাৎ এমনটাও হতে পারে এই গ্লু কোনো ব্যক্তির পকেট থেকে পরেছে। অথবা এমনও হতে পারে অপরাধী এটি নিয়ে এসেছে।

রানি – কিন্তু এই গ্লু দিয়ে অপরাধী কি করবে।

-সেটাই তো মাথায় ঢুকছে না কিছুতেই। আচ্ছা তোমাকে একটা ৩৬০ ডিগ্রি শর্ট নিতে বলেছিলাম, সেটা দেখি।

রানি – এই তো, এই যে দেখো।

-এখান থেকে দরজার দূরত্ব প্রায় ৫-৬ গজ হবে। আর প্রথম মূর্তি টি দরজা থেকে প্রায় ৭-৮ গজের মধ্যে অবস্থিত ছিল। তাদের কথা মত তিনটি মূর্তিই ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যে উধাও হয়েছে।

পড়ুনঃ- একটি কষ্টের প্রেমের গল্প

রানি – তার মানে এই কাজে কি ৩ জন যুক্ত আছে।

-হুমম হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে।… সিসি টিভি ফুটেজ টা এখনও দেখা হয় নি। ওটা আরেক বার দেখতে চাই।

রানি প্যান ড্রাইভ টি কম্পিউটারে সেট করে ফুটেজ চালিয়ে দিল। দুইজনে খুব মন দিয়ে দেখছে। প্রায় পাঁচ মিনিটের নিরবতা কাটিয়ে Mr. Ash বলে উঠলেন- পজ করো, দ্বিতীয় মূর্তির দিকে দেখো, কিছু একটা ব্লিঙ্ক করল মনে হয়। ফুটেজ এর স্পিড কমাও জলদি, প্লে…জুম… ইয়েস…দ্বিতীয় মূর্তিটি ব্লিঙ্ক করছে।

রানি –কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব। মূর্তি তো শক্ত উপাদান, সেটি তো কোনো চিত্র নয় যে ব্লিঙ্ক করবে। হয়ত কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি হবে।

-না, এটা যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে না, যান্ত্রিক ত্রুটি হলে গোটা ফুটেজ ব্লিঙ্ক করার কথা, কিন্তু ভাল মত একটু লক্ষ্য কর, ওই দ্বিতীয় মূর্তিটাই ব্লিঙ্ক করল। অর্থাৎ…

রানি উৎসাহ ভরে জিজ্ঞেস করল- অর্থাৎ কি…?

-এই অর্থাৎ এর উত্তর টা আগামী কাল পাওয়া যাবে।

রানি জানে সে যতই চেষ্টা করুক না কেন, এই ‘অর্থাৎ’ এর উত্তর আজ সে আর পাবে না।

পরের দিন, তারা আবার মিউজিয়ামে গেল। Mr. Ash রানির হাত থেকে ক্যামেরা টা নিয়ে দ্বিতীয় মূর্তি টা যেখানে ছিল, সেই কাচ হীন বাক্সের একদম কাছে গিয়ে ফটো ক্লিক করতে লাগলেন। বাক্স তে হাত দিয়ে কি যেন বার বার দেখছেন। তার ঠোঁটের কোনায় একটি তৃপ্তির হাসি দেখা গেল। তিনি ছুটে গেলেন প্রথম বাক্সটার কাছে, সেখানেও তিনি বাক্সের ভিতরে হাত বোলাতে লাগলেন। এরপর তৃতীয় বাক্সটির কাছেও একই কীর্তি করলেন। রানির কাছে এসে বললেন-

“চলো এবার বাড়ি, কাজ শেষ। এবার আরেকটু ভাল মত সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই অনেকটা রহস্য খুলে যাবে।“

বাড়ি এসে Mr. Ash ১২ টি ছোট ছোট লেজার লাইটের মত জিনিস রানি র সামনে ধরলেন- “বলতে পারবে এগুলো কি?”

-এগুলো তো, ছোট ছোট লেন্স মনে হচ্ছে।

-না, লেন্স ঠিক নয়, এগুলো হল হলোগ্রাম ক্রিয়েটর।

-সেটা আবার কী জিনিস!

Mr. Ash রানির হাতে সেই ছোট ছোট বস্তু গুলির কয়েকটা দিয়ে বললেন- “একটু ভাল মত দেখো, এই প্রতিটি লেজার লাইটের মত বস্তু গুলির পিছনে ছোট্ট একটি মাদার বোর্ড রয়েছে। এই মাদার বোর্ডে যে কোন ছবি পুট করলে, এই হলোগ্রাম ক্রিয়েটর গুলি লেজার লাইটের মত আলো ফেলে, আর পুট করা ছবির কিছু অংশ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে 3D ছবির মত দেখায়।

তবে এগুলোর অসুবিধা হল, এগুলি একটা পুরো ছবিকে একাই ডিসপ্লে করতে পারে না। তাই মূর্তি গুলি যে বক্সে ছিল সেখানে সবার অগোচরে প্রতিটি বক্সে চারটি করে হলোগ্রাম ক্রিয়েটর সেট করা হয়েছে। তার আগে অবশ্য বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলে সেগুলিতে সেটআপ করে দেওয়া হয়েছে। যখন দত্ত বাবু বললেন সেই সাদা রোল টি হল ডবল গ্লু এর, আর শেষে তুমি বললে এগুলি যে কোন জিনিস সাঁটানোর জন্য ব্যবহৃত হয় তখনই মনে সন্দেহ হল।

এরপর যখন দেখলাম দ্বিতীয় মূর্তির জায়গায় ব্লিঙ্ক করছে তখনই সন্দেহ পরিষ্কার হল।

এই হলোগ্রাম ক্রিয়েটর গুলি প্রতিটি বাক্সে এমন ভাবে সেট করা ছিল যে এগুলি থেকে বিচ্ছুরিত হওয়া লেজার লাইট একত্রে মিলিত হয়ে একটি 3D বস্তুর ছবি ডিসপ্লে করতে পারবে। এই হলোগ্রাম ক্রিয়েটর গুলির মাদার বোর্ডে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে মূর্তির ছবি নিয়ে সেট করে দেওয়া হয়েছে। আর এগুলো দেখে সহজে বোঝা যায় না। কারণ ছবিটি 3D. দ্বিতীয় মূর্তির জায়গাটি ব্লিঙ্ক করার অর্থ হল, এই হলোগ্রাম ক্রিয়েটর গুলি অ্যাকটিভ হয়ে গেল আর সেই ফাঁকেই মূর্তি গুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মিউজিয়ামে প্রচুর ভিড় ছিল, তাই সিসিটিভি ক্যামেরাতে মূর্তি তে হাত দেওয়ার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে না। আর এর মধ্যে থাকা ব্যাটারি মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারে, আর আশ্চর্যের কথা হল ছোট্ট এই বস্তুটিকে রিমোট কন্ট্রোলারের সাহায্যে ইচ্ছে মত অন করে কোন বস্তুর রেপ্লিকা তৈরি করা যায়।

এই বস্তু গুলি ডবল গ্লু এর সাহায্যে মূর্তি গুলির বাক্সে সাঁটানো ছিল। আমি নিজে এগুলি ডবল গ্লু থেকে উঠিয়ে নিয়েছি। আসল মূর্তিটি সরানোর কয়েক সেকেন্ড আগে এই বস্তু গুলি চালু করে দেওয়া হয়েছিল আর তিনটি মূর্তি একই সময়ে সরেছে। দ্বিতীয় মূর্তিটি যেহেতু ক্যামেরার অনেক কাছেই সেহেতু সেটার ব্লিঙ্ক বোঝা যাচ্ছে অন্য গুলির ব্লিঙ্ক বোঝা যাচ্ছে না।

bengali Detective Story
bengali Detective Story

এই হলোগ্রাম ক্রিয়টর গুলি এমনভাবে merge করে লাগানো হয়েছিল যে, আসল মূর্তির সাথে এই হলোগ্রাম মেশিনের নির্গত লেজার একেবারে মিলে গিয়েছিল।“

রানি –উফ্ বড্ড জটিল বিষয়। তাহলে মূর্তি গুলি কে উধাও করল?

Mr. Ash- সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব আমি তোমার উপর দিলাম। ফুটেজ দেখে বলো।

অনেকক্ষণ ফুটেজ দেখার পর রানি বলে উঠল- এত গরমে এই লোকটা ব্লেজার পরে আছে কেন, আর এ যখনই মূর্তির পাশে দাঁড়াল অমনি ব্লিঙ্ক করে উঠল। তাহলে কি এই লোকটাই…!

Mr. Ash- সাব্বাস, ঠিক ধরেছ। এই প্রকাণ্ড গরমে ব্লেজার পরাটা নিতান্তই শোভনীয় নয়। এই কয়েক ইঞ্চির মূর্তি গুলি আরামেই ব্লেজারের ভিতর নিয়ে যাওয়া যাবে।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই লোকটি হল সেই লোকটি যে, এই মূর্তি গুলি রাখার কাঠের বাক্স গুলি নির্মাণ করেছিল। সেই মূর্তি বাক্সে রাখার পর একটি কাজ বাকি রয়ে গেছে বলে, এই হলোগ্রাম ক্রিয়েটর গুলি সেখানে লাগিয়ে দিয়েছিল। যেহেতু সেই বাক্স গুলি তৈরি করেছে সেহেতু, সে যখন বলল একটি কাজ বাকি রয়ে গেছে, কেউই তাকে আটকায় নি, বা কি কাজ বাকি রয়েছে সেই বিষয়টিও খুঁটিয়ে দেখে নি কেউই।

ও হাঁ আরেকটি কথা, মূর্তি চুরি হওয়ার ১০-১৫ সেকেন্ড পর সেই হলোগ্রাম ক্রিয়েটর গুলির ব্যাটারি শেষ হয় আর মূর্তি উধাও এর বিষয়টি তখনই নজরে আসে। আর এটাই হল সেই হাওয়াতেই মূর্তি উড়ে যাওয়া।

সেই লোকটির অন্য দুইজন সহযোগীকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তিনটি মূর্তিই পরে উদ্ধার করা হয় তাদের কাছে থেকে। তবে অবাক করার মত প্রশ্ন হল, বাক্স বানানো হল, অথচ তাতে কাচ লাগানো হল না কেন? আর এরকম দামী জিনিসে সুরক্ষার বন্দবস্ত নেই কেন! সবথেকে চিন্তার কথা হলো কোনো ব্যারিয়ার না থাকা সত্ত্বেও দর্শক কে মূর্তির কাছে যাওয়ার অনুমতি কেন দেওয়া হয়েছে! এইসব প্রশ্ন না হয় পুলিশ সমাধান করুক।

Mr. Ash- আচ্ছা রানি, Mr. Antony কে একটু টেলিফোন করো তো। তিনি যে ওইদিন আমাকে ‘বেস্ট অফ লাক বললেন’, তাকে থ্যাঙ্ক ইউ জানানো হয় নি।“

-হাঁ হাঁ হাঁ…

অসীম পাল

গল্পটির ভাবনায়-

পড়ুনঃ- চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা জানলে চোখ উঠবে কপালে।


আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক- মুক্তাক্ষর 

টেলিগ্রাম- মুক্তাক্ষর 

WhatsApp Group- মুক্তাক্ষর 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top