Spread the love

দারুণ কয়েকটি ছোট ছোট মজার হাসির গল্প নিয়ে আজ আবারও চলে আসা। প্রতিদিন মুখ গোমড়া মুখর দিন গুলিতে এই হাসির গল্প গুলি আপনার মনে যদি একটুও আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে পরিশ্রম সার্থক হবে মনে করি। এর মধ্যে শিক্ষণীয় মজার হাসির গল্পও রয়েছে।

ছোট মজার হাসির গল্পঃ-

শিক্ষণীয় মজার হাসির গল্প- “বাপ ইজ বাপ”

পাপু নতুন নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছে। বাড়ি থেকে দূরত্বের কারণে কলেজের হোস্টেলেই সে থাকে। নতুন নতুন বন্ধু পেয়ে পাপু তার বাবার দেওয়া সব টাকা কয়েকদিনেই উড়িয়ে দিয়েছে। তাই সে তার বাবাকে ফোন করে কিছু টাকা পাঠাতে বলল।

বাবা- ঠিক আছে, আমি তোমাকে টাকা পাঠিয়ে দেবো।“ এই সময় পাপুর মা এসে হাজির সে পাপুকে বলল তুই যে একটা বই বাড়িতে ফেলে গেছিস রে। আমি কি বইটা পাঠিয়ে দেবো।“

পাপু- “ঠিক আছে মা পাঠিয়ে দেবে।“

পরের দিন পাপুর বাবা বইটিকে একটি কাগজে মুড়ে পোস্ট অফিসে জমা দিয়ে এলো। ঘরে ফিরতেই পাপুর মা প্রশ্ন করল- “তুমি কত টাকা পাঠালে ওকে?”

পাপুর বাবা বলল- “ আমি দুটো চেক দিয়েছি ওকে, একটা চেক ৫০০ টাকার আরেকটা চেক ৪০০০ টাকার।“

এটি শুনে পাপুর মা রেগে গিয়ে বলল- “তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে ৪৫০০ টাকা দিয়ে চলে এলে। ছেলেটা টাকা ওড়াচ্ছে বেশি আর তুমি কি না কোন বিবেচনা না করে এতগুলো টাকা দিয়ে চলে এলে!”

ছোট মজার হাসির গল্প
ছোট মজার হাসির গল্প

এটি শুনে পাপুর বাবা, পাপুর মায়ের গালে চুমু খেয়ে বলল- “রাগ করো না ডার্লিং, ওই ৪০০০ টাকা আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে।“

পাপুর মা- “তোমার যা ছেলে, সে কোনোদিন ফিরত দেবে না।“

এটি শুনে পাপুর বাবা বলল- “আমি ৫০০ টাকার চেক টা বইয়ের প্রথম মলাটের পরেই রেখে দিয়েছি, আর ৪০০০ টাকার চেক টা রয়েছে ২০ নাম্বার অধ্যায়ে। এতে বুঝে যাব পাপু ওখানে কেমন পড়াশোনা করছে। সে যদি প্রতিটা অধ্যায় ধরে ধরে পরে তাহলে সে একদিন অবশ্যই ৪০০০ টাকার চেক খুঁজে পাবে আর সেটা হবে তার উপহার। কিন্তু তুমি ভালোমতোই জানো পাপু কেমন পড়াশোনা করে। ওকে যাতে হাতে নাতে ধরা যায় তাই এই ব্যবস্থা করেছি।

আর হ্যাঁ, পাপুকে বলে দেবে টাকার চেক টা বইয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া আছে। দেখবে সে ৫০০ টাকার চেকটাই ব্যবহার করবে।“

🌐পড়ুনঃ- জীবন বদলানো সেরা শিক্ষণীয় গল্প

বাংলা ফানি গল্পঃ- “হাতি কাণ্ড”

আমাদের গ্রামের সবথেকে ধনী ব্যক্তি বুল্লা চৌধুরি। বুল্লা চৌধুরি তার নানান অস্বাভাবিক কাজের জন্য বিশেষ জনপ্রিয় ছিল। তার সেহজাদা নামে একটি হাতি ছিল। একদিন বুল্লা চৌধুরীর মাথায় কি একটা প্রশ্ন এলো যে, সে কোনোদিন তার হাতিটিকে লাফাতে দেখে নি।

এরপর সে ঠিক করল পেপারে অ্যাড দেবে। সে পেপারে অ্যাড দিল- “যে আমার হাতিটিকে লাফিয়ে দেখাতে পারবে তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

পেপারের অ্যাড দেখে দূর দুরন্ত থেকে লোক আসছে হাতিটিকে লাফিয়ে দেখানোর জন্য কিন্তু কেউই সফল হচ্ছে না।

একজন লোক একটি বুদ্ধি বেড় করল। সে কয়েক ডজন কলা একটি উঁচু গাছের ডালে বেঁধে দিয়ে হাতিটিকে দেখিয়ে খেতে বলল। সে ভেবেছিল কলা গুলো খাওয়ার জন্য হাতিটি লাফাবে। কিন্তু হাতিটি না লাফিয়ে সোজা গাছটিকেই ভেঙে দিয়ে কলা গুলি খেয়ে নিল।

এই দেখে বুল্লা চৌধুরি অট্টহাসি হাসতে লাগলো।

এরপর আরেকজন লোক এসে বলল- আপনার হাতিটি কি মানুষের ভাষা বোঝে! বুল্লা চৌধুরি উত্তর দিল অবশ্যই বোঝে। ওকে ১০ জন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষিত করেছি আমি।

বাংলা ফানি গল্প
বাংলা ফানি গল্প

এরপর লোকটি, হাতিটির সামনে গিয়ে দাঁড়াল। কিছুক্ষণ হাতিটির দিকে দেখার পর সে পরে যাওয়া গাছ থেকে একটি মোটা দেখে ডাল ভেঙে নিল। এরপর সে ডাল টি নিয়ে হাতিটির পিছনে এসে হাতিটির মেন পয়েন্টে ডাল দিয়ে সজোরে মেরে দিল। আচমকা মেন পয়েন্ট এ আঘাত করায় হাতিটি ভয়ে ৭ ফুট লাফিয়ে উঠলো।

এটি দেখে বুল্লা চৌধুরি হতবাক হয়ে গেলেন। বাধ্য হয়েই তাকে পুরস্কারের টাকা দিতে হল লোকটাকে।

কিছুদিন পর বুল্লা চৌধুরীর মাথায় এলো আরেক জিজ্ঞাসা। তার হাতিকে সে কখনো ডানে বামে মাথা হেলাতে দেখেনি সে। এরপর সে আবার পেপারে অ্যাড দিল। যে তার হাতির মাথা ডানে বামে করিয়ে দেখাতে পারবে তাকে দুই লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

যথারীতি আবার অনেক লোক এলো। কেউ হাতিটির মাথায় দড়ি বেঁধে জোড় করে হাতির মাথা ডানে বামে করার চেষ্টা করল। কিন্তু সব চেষ্টা বৃথা।
এরপর আবার সেই আগের দিনের লোকটি এল। এসেই সে বুল্লা চৌধুরি কে নমস্কার করল। এরপর সে হাতিটির সামনে গিয়ে বলল- “আমাকে চিনতে পেরেছিস বাবা?” হাতিটি মাথা উপর নীচ করে হ্যাঁ বলল।

লোকটি আবার বলল- “সেদিন তোর সাথে যেমন করেছি মনে আছে তো?” হাতিটি আবার মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল।

লোকটি বলল- “আমি কি আবার সেরকম করব?”

হাতিটি ভয়ে ডানে বামে মাথা হেলিয়ে না না বলতে লাগল।

এটি দেখে বুল্লা চৌধুরীর মুখ শুকিয়ে গেলো। সে বাধ্য হল লোকটিকে দুই লক্ষ টাকা দিতে। এরপর থেকে বুল্লা চৌধুরীর মনে আর এরকম আজব ভাবনা আসে নি।

🌐পড়ুনঃ- বাছাই করা ইমোশনাল স্ট্যাটাস

হাসির গল্প- “মদ খাওয়া সহজ নয়”

রাজুর স্ত্রীর সাথে প্রতিদিন ঝগড়া হয় তার। কারণ হলো রাজু প্রতিদিন রাতে মদ খায়। তার স্ত্রী তাকে প্রতিদিন কথা শোনায়।

এরকমই একদিন, রাজুকে তার স্ত্রী বলছে- “মদ এত আনন্দ করে খাও তাহলে আমাকে বিয়ে কেন করেছ। মদের সাথেই তো থাকতে পারতে।

এটি শুনে, রাজু একটি গ্লাস নিয়ে ওতে কিছু পরিমাণ মদ ঢেলে দিয়ে তার স্ত্রীকে বলল- “নাও খেয়ে দেখো।“

হাসির গল্প
হাসির গল্প

রাজুর স্ত্রী গ্লাসটি মুখে নিতেই কল পারে দৌড়ে গেলো গ্লাস ফেলে দিয়ে। সে এসে বলল- “এত কড়া জিনিস খাও কীভাবে!”

রাজু- “কেন একটু আগেই যে বলছিলে আমি নাকি বেশ মজা করে খাই, বুঝলে তো এবার কত কষ্ট করে আমাকে মদ খেতে হয়।“

এরপর রাজুর স্ত্রী বলল- “আমি আজ থেকে তোমাকে মদ খেতে বাঁধা দেবো না।“

স্ত্রীর কথা শুনে অত্যন্ত খুশি রাজু মনে মনে বলছে- “জল না মিশিয়ে মদ খেলে এরকম তো হবেই।“

🌐পড়ুনঃ- একটি অসমাপ্ত কষ্টের গল্প

আমাদের সাথে যুক্ত হবেন যেভাবে- 

ফেসবুক- মুক্তাক্ষর 

টেলিগ্রাম- মুক্তাক্ষর 

WhatsApp Group- মুক্তাক্ষর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top